
ওমান উপসাগরে বাংলাদেশি ক্রুসহ একটি বিদেশি ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) হরমোজগান প্রদেশের বিচার বিভাগকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই ট্যাংকার ৬০ লাখ লিটার ‘চোরাই ডিজেল’ বহন করছিল। এছাড়া ট্যাঙ্কারের ১৮ জন ক্রু'র মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
বিচার বিভাগ জানায়, চলমান তদন্তের আওতায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপটেনও রয়েছেন। আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রু সদস্যদের মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকও রয়েছে। তবে কতজন বাংলাদেশি ক্রু রয়েছেন, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। বা কোন দেশের কতজন ক্রু রয়েছেন, তাও প্রকাশ করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্যাংকারটি একাধিক বিধি লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে ছিল-থামার নির্দেশ অমান্য করা, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা এবং নৌচলাচল ও পণ্যসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকা।
ব্যাপক ভর্তুকি ও জাতীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে ইরানে জ্বালানির দাম বিশ্ববাজারে এখন সবচেয়ে কম। এ কারণে দেশটি স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং সমুদ্রপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক জ্বালানি চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।
হরমোজগান প্রদেশের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ফার্স আরও বলেছে, ওমান সাগরের উপকূলের কাছ থেকে চোরাচালানের ডিজেল জ্বালানি বহনকারী তেল ট্যাংকারটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
জাহাজটির সব নেভিগেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ইরানি কর্মকর্তারা।
ইরানি বাহিনী নিয়মিতভাবে এমন জাহাজ আটক করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা দাবি করে, উপসাগরে অবৈধভাবে জ্বালানি পরিবহনের জন্য এসব জাহাজ জব্দ করা হয়।
আইএ/সকালবেলা